Description
ইসলাম জীবনব্যবস্থা হিসেবে পবিত্র আল-কুরআনের পরেই আল হাদীসের স্থান। কারণ, কুরআনের নির্দেশ মেনে চলতে হলেই হাদীসকে দরকার। যেমন আল-কুরআনে আছে নামায কায়েম করার হুকুম কিন্তু হাদীসে আছে পাঁচ ওয়াক্তের কথা ও এক এক ওয়াক্তের সীমা কোন পর্যন্ত ইত্যাদি, এসব হাদীস থেকেই গ্রহণ করতে হয়। তাই কুরআনী জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে হাদীসী জ্ঞান আমাদের লাভ করা একান্ত কর্তব্য। কিন্তু আল কুরআন যেমন যখনই অহি নাযিল হয়েছে তখনই তা লিখে নেয়া হয়েছে। যে জন্যে আল কুরআনের একটা যের জবর পেশ ইত্যাদি পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু হাদীস সংগ্রহ শুরু হয় এমন সময় থেকে যখন অনেক সাহাবী জীবিত ছিলেন না। তখন সুযােগ বুঝে বহু ইহুদী খৃষ্টান মুসলমান না হয়েই নিজেদের কে সাহাবী বলে পরিচয় দিয়েছে এবং তাদের স্বরচিত কথাকে রাসূলের বাণী হিসাবে চালিয়ে দিয়েছে। এ সব জাল হাদীস থেকে মূল হাদীসকে পৃথক করার জন্য যত প্রকার সাবধানতা মানুষের দ্বারা সম্ভব তার সব কিছুই অবলম্বন করা হয়েছিল। এমন কি যাদের নিকট থেকে হাদীস সগ্রহ করা হয়েছিল তাদের জীবনী ইতিহাস পর্যন্ত লেখা হয়েছে,যে তাদের জীবনে মিথ্যা বলার অভ্যাস কোন দিন কারাে নজরে ধরা পড়েছে কিনা, এসবই সগ্রহ করা হয়েছে এতে প্রায় ৫ লাখ লােকের জীবনী লিখতে হয়েছে যা ইসলামের ইতিহাসে এক নজীরবিহীন সংযােজন এরপরও কিছু হাদীস বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.